Posts

Showing posts from August, 2017

আমাদের জীবন - Amader Jibon

Image
"" সব বান্ধবীদের বলতে শুনি, “তোমরা ছেলেদের জীবন কত্ত ভালো, ইচ্ছেমত ঘুরতে পারো, আড্ডা দিতে পারো স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছা করতে পারো, কোন বাধা নিষেধ নেই। আর আমরা মেয়েদের বেলায় যত নিয়ম-কানুন” আজ কিছু কথা বলি, তা পড়ে হয়তো ছেলেদের জীবন সম্পর্কে তোদের ধারণা পাল্টাতে পারে। স্বাধীনতা, আড্ডা, ঘুরাঘুরি এগুলো ছেলেদের জীবন নয়। ছেলেদের জীবন মানে একটা সংগ্রাম, একটা গল্প, অনেক ত্যাগ। জন্মের পর থেকে ছেলেদের মাথায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বীজ ঢুকিয়ে দেয়া হয়, প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলে সমাজে মর্যাদা থাকবে না, ভালো চাকরী পাওয়া যাবেনা, কোন বাবা তার মেয়েকে বিয়ে দিবেনা। ছেলেরা পরীক্ষার খাতায় ফেল করলে তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়, আর মেয়েরা ফেল করলে সহজ সমাধান তাদের বিয়ে দেয়া হয়। মেয়েরা সুন্দরী হলেই তার জন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য হল টাকা। টাকা থাকলে তার জন্য রয়েছে হাজারো দোকানের কাজ আর টাকা না থাকলে পাড়ার কাজের মেয়েটাও ফিরে তাকায়না আজকাল টাকা ছাড়া “সুইটি বেবি” টাও পাশে থাকেনা। বেবির জন্মদিন আসলেই দিতে হয় হাজ

Swadinota

"বলত দেখি পতাকায় মোদের কয়টি রঙ আছে? শিক্ষক এসে শুধালেন হেসে দ্বিতীয় শ্রেণীর কাছে। একসাথে মিলে সব ছেলে বলে চিৎকার করে জোরে তিনটি বর্ন রয়েছে রাঙানো জাতীয় পতাকা জুড়ে। শ্রেনীর পিছনে বেঞ্চের কোনে শিশু ছিল এক বসে, 'পতাকার মাঝে পাঁচ রঙ আছে' বলল সে মৃদু ভাষে। কথা তার শুনে বাকি শিশুগনে হেসে খায় লুটোপুটি, শিক্ষক রেগে বলেন হেঁকে বোঝাও কি করে পাঁচটি? মাথা নিচু করে ভয়ার্ত স্বরে সরল শিশুটি বলে, ওপরে গেরুয়া মাঝখানে সাদা সবুজ আছে তার তলে আর আছে আঁকা গোলাকার চাকা নীল রং আছে এতে। শিক্ষক বলে এটিকে ধরলে তবুও হচ্ছে চারটে। অবোধ শিশুটি বলল তখন রং আছে আর এক। লাল লাল ছোপ দাগ দেখা যায় ওই পতাকার মাঝে। বাবাকে যখন আনলে ওরা কফিনের ঢাকা খুলে, জড়ানো রয়েছে দেহখানা তার পতাকা আর ফুলে। রক্তের দাগে ছিল লাল ছোপ ওই পতাকার মাঝে। এই নিয়ে মোট হল পাঁচটি এবার ত ঠিক আছে। সরল শিশুটির জবাবখানি কাঁপিয়ে দিল বুক অশ্রু এলো নয়ন ভরে শুকনো হল মুখ। আজও যারা দেশের জন্য করছে বলিদান স্বাধীনতার শহীদ সম তাদের অমর প্রাণ। হয়েছি স্বাধীন পেরিয়ে গেছে সত্তরটি বছর দেশ বাঁচাতে যাচ্ছে যে প্রাণ

হারুকাকা - Haru Kaka

Image
হারুকাকা কে চেনেন না বোধ হয়! আমাদের পাশের পাড়াতেই দেখতাম আগে। ওখানে থাকে কিনা জানিনা! তবে অনেকবার দেখেছি ঘোরাঘুরি করতে। বিশেষ করে নেমন্তন্ন বাড়িতে দেখতে পেতাম ই। খেতে দিচ্ছে, জল দিচ্ছে, এঁটো পাতা তুলছে। আমার কেমন একটা ধারণা হয়ে গিয়েছিল হারুকাকা বোধ হয়, ক্যাটারিং এ কাজ করে। মানে ঐ যারা রান্নাবান্নার কাজ করে। তখন বয়েস কত আমার!? ঐ দশ এগারো হবে। অনেক আগের কথা। আমাকে দেখলেই হারুকাকা পকেট থেকে দশ পয়সার লজেন্স বার করে দিত। ঝোলা পাঞ্জাবি পরতো কাকা আর লুঙ্গি। বলতো, খোকা লজেন্স খাও, পেট ভরবে! লজেন্স খেয়ে কিভাবে পেট ভরে সেটা খুঁজে পেতাম না। হাইস্কুলে পড়ি তখন। বাবা কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে আমি, মা, আর ঠাকুমা আরও বাকিরা । আমি তখন সেভেন এ পড়ে আর বোন ফাইভে। দুই ভাইবোন  মোট একটাকা হাত খরচা পেতাম। বোন পঞ্চাশ পয়সা আর আমি পঞ্চাশ পয়সা। বোন তাই দিয়ে মশলা মুড়ি খেত আর আমি লজেন্স খেতাম। পঞ্চাশ পয়সায় পাঁচটা হত লজেন্স। সেই লজেন্স খেতে খেতে হেঁটে বাড়ি ফিরতাম। একদিন দেখি হারুকাকা লজেন্সের দোকান নিয়ে বাইরে বসে। আমাকে দেখেই হাঁক দিল, “খোকাবাবু বুঝি এই ইস্কুলে পড়ো ? বেশ বড় ইস্কুল তো!” বললাম, “হ্যাঁ ! কা

প্রতিদান - Protidan

Image
কলেজে ক্লাস শেষ করে বেলিয়াতোড়ে বাসে চাপলাম এই দুপুরে বাসের মধ্যে একটা সীটও পেয়ে গেলাম। ভাবলাম এই পথেই বাড়ি না গিয়ে বাঁকুড়া যাবো কিছু বই আনতে হবে । আমার পাশের সীট টা খালি ছিল দেখলাম একটা মেয়ে বাসে উঠল দেখে মনে হল সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। লাল কুর্তা,হাতে স্মার্টফোন এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল কোথাও সীট খালি নেই শুধু আমার পাশের সীট টা খালি ছিল । বাধ্য হয়ে আমার পাশে এসে বসল। ঠিক বেলবনী পেরিয়ে মাকুড়গ্রাম এ ঢুকেছি একটা হকার উঠল। সাধারনত এদিকে হকার বেশি ওঠেনা, লোকটির হাতে নানান রকম পাঁজি পুস্তক, ছোটোদের ছড়ার বই, বর্ণমালা ইত্যাদি রকমের বই ছিল, পরনে খাঁকি একাট পোষাক সারদিন বাসে বাসে ঘুরে বিক্রির জন্য তাই পুরো শরীর ঘামে প্রায় ভিজে গেছে। লোকটি বাসে উঠেই তার কাজ শুরু করে দিল তার ওই বই বিক্রির আওয়াজ এ গুরুপ্ত দিচ্ছিল না  কেউ আমি ঠিক স্পষ্ট বুঝতে পারলাম লোকটির ডাক ধীরে ধীরে মৃদু হয়ে আসছে মুখে বিষণ্নতার ছাপ দেখে বুজতে পারছিলাম আজ তার বই বেশি বিক্রি হয়নি কিজানি ভাবলাম একটা বই কিনেই ফেলি,আমার দরকার না হলেও লোকটার মুখে হাসি ফোটাতে না পারলেও একটা আশ্বাস দিতে পারব। এমনই ভাবছি হটাৎ দেখি লোকটা আমার সামনে স

বন্ধুত্ব

ছেলেবেলা! স্কুল শুরুর দিনগুলোতে আমাদের অনেকেরই নতুন অভিজ্ঞতার নাম হয়তো একটাই, বন্ধুত্ব! পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে চেনা জগত্টা যে এক লাফে অনেক দূর চলে গিয়েছিল সে তো বন্ধুদের হাত ধরেই। জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে আজ যে যেখানেই থাকি না কেন চলার পথে বন্ধুত্ব নামের এই পাথেয়টির তুলনা বোধ হয় আর কিছুর সঙ্গেই চলে না। এ এমনই বিষয় যেন কিছু না থাকলেও বন্ধুত্ব থাকলে চলে আবার সব থাকলেও বন্ধুত্ব ছাড়া চলে না! নানা সংস্কৃতিতে, নানা দেশে বন্ধুত্বের রীতিনীতিতে আগেও যেমন ভিন্নতা ছিল, এখনো তেমনি ভিন্নতা আছে। কিন্তু বন্ধুত্ব তো তাই যাকে কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না, সংজ্ঞা দিয়ে বাঁধা যায় না। হয়তো তার প্রয়োজনও নেই। তবু মানুষ যুগে যুগে দেশে দেশে বন্ধুত্বকে যেমন উদযাপন করেছে তেমনি একে ব্যাখ্যা করারও চেষ্টা করেছে। আগস্ট মাসের প্রথম রোববারের হিসেবে আজ ‘আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস’। বন্ধুত্ব নিয়ে নানা দেশের কয়েকজন মনীষীর কিছু উক্তি আর কথকতা নিয়ে সাজানো এ প্রতিবেদন। এমন এককাল তো ছিলই যখন ‘ছেলেতে-মেয়েতে’ বন্ধুত্ব হলে তা কেবল ভালোবাসা-প্রেমের সম্পর্ককেই বোঝাত! কিন্তু এই যুগ সেসব পেছনে ফেলে অনেক দূরই এগিয়েছে। তবু বিষয়টি আর

দায়িত্ব- Daiytto

Image
ট্রেন এ উঠে জানালার পাশে সিট টা পেয়ে গিয়ে বসে পড়ে মোবাইল টা বের করে হেড ফোনটা কানে দিয়ে গান শুনছিলাম । আমার সামনের সীটে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক বসেছিলেন । দুপুরের সময় ট্রেন এ যাত্রী খুব কমই ছিল । হটাত ট্রেন এ টিটি টিকিট চেক করতে আসতে দেখে বয়স্ক ভদ্র লোকটি বেশ ভয় পেয়ে গেলেন । তাঁর হাবভাব দেখে আমি জিজ্ঞাস করলাম , টিকিট কি কাটা হয় নি আপানার ? ভদ্র লোকটি খুব শান্ত স্বরে বললেন , ট্রেন স্টেশনে ঢুকে যাওয়ায় টিকিট কাটার সময় পাইনি । আর আমার কাছে ফাইন দেওয়ার মতো টাকাও নাই । আমি তাঁকে অভয় দিয়ে বললাম , চিন্তা করবেন না , ফাইন এর টাকা টা আমি দিয়ে দেব । আমার কথা টা শুনে দেখলাম তিনি খুব আনন্দিত হলেন । কিন্তু টিটি কে দেখলাম কোন কারন বশত আমাদের কাছে টিকিট চেক করতে না এসে খড়গপুরের আগে কোনো স্টেশনে নেমে পড়লো । যাই হোক আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম , কোথায় যাবেন ? বয়স্ক লোকটি একটু ভাবনায় যেন পড়ে গেলেন । তারপর বললেন হাওড়া যাব ভেবেছিলাম , কিন্তু এবার ভাবছি বাঁকুড়া যাব । তাঁর কথা শুনে আমি একটু অবাক হলাম । তিনি বললেন , জানো বাব, আমার নাম বিরেন মণ্ডল , আমি একটা কোম্পানিতে কাজ করতাম । দুই ছেলে আর এক মেয়ে রেখে
KUBLA KHAN INTRODUCTION In A Nutshell One night,  Samuel Taylor Coleridge  wasn't feeling all that great. To dull the pain, he took a dose of laudanum, a preparation of opium used as a medicine in the 19th century. He fell asleep and had a strange dream about a Mongol emperor named Kubla Khan. Coleridge dreamed that he was actually writing a poem in his sleep, and when he woke up after a few hours, he sat down to record the dream poem. He meant to write several hundred lines, but he was interrupted by someone who had come to see him on business. When he came back to the poem, he had forgotten the rest. The lines he did manage to scribble out turned into one of the most famous and enduring poems in English literary history. (You can read more on about Coleridge's inspiration for "Kubla Khan"  here .) Not your average night, maybe, but why should we care about this story? Well, Coleridge wasn't just a guy with the flu who happened to have a weird dream. He w